রাজা দাস, বালুরঘাট: উর্দি পরে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় বেহুঁশ পুলিশ কর্মী। নেশাগ্রস্ত পুলিশের এমন অবস্থায় নিন্দার ঝড় বালুরঘাট শহরে৷ জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মীর নাম সুজিত চক্রবর্তী। শনিবার রাতে বালুরঘাট শহরের জোড়াব্রিজ সংলগ্ন শৌচালয়ের পাশে মদ্যপ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা৷ স্থানীয়রা এক দু’বার তুলে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন বটে৷ কিন্তু, কে শোনে কার কথা! ‘পুলিশ মামা’ নেশায় আচ্ছন্ন৷
[বিসর্জনের ডিউটিতে গিয়ে আক্রান্ত দুই সিভিক ভলান্টিয়ার]
মদের নেশায় মত্ত ওই পুলিশ কনস্টেবলের উঠে বসার ক্ষমতাটুকু ছিল না প্রথমে। খবর পেয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা পৌঁছতেই হুঁশ ফেরে খানিকটা৷ তবে, উঠতে গিয়ে ফের পড়ে যান তিনি। নাকে খানিকটা চোট পেতে রক্ত বের হতে দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ৷ এদিকে থানা থেকে পুলিশ আসার খবর কানে পৌঁছাতেই পাশের দোকানে থাকা সাইকেল নিয়ে পালাতে উদ্যত হন তিনি। তবে, কল্যাণিঘাটের রাস্তা থেকে সুজিতবাবুকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ।
[কোচবিহারে কলেজ ছাত্র মাজিদ আনসারি খুনে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার]
ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘ওই পুলিশ কর্মী ডিউটিতে ছিল না কি সেটা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তবে এর বাইরে কিছু বলা যাবে না বলে তিনি জানান৷ পুলিশের ‘রুল বুক’ বলছে, উর্দির নিজস্ব একটি সম্ভ্রম রয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট কর্মী যে শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর সদস্য, তার প্রমাণই হল খাকি উর্দি। কোথায় উর্দি পরে যাওয়া যায়, কোথায় যায় না তা-ও নির্দিষ্ট করা রয়েছে ‘রুল বুকে’। নিয়ম অনুযায়ী, উর্দি পরে পারিবারিক কাজও করা যায় না। এমনকী, উর্দি পরে মাদকদ্রব্য ছোঁয়া তো দূর, মদ্যপান নৈব-নৈব চ৷ কিন্তু, ‘রুল বুকে’র কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও পুলিশকর্মীর বেহুঁশ হওয়ার ঘটনায় উঠেছে বিতর্কের ঝড়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.