রঞ্জন মহাপাত্র ও সন্দীপ মজুমদার: দিঘার লজে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রেমিক যুগলের। বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন এক তরুণী। তবে তাঁর প্রেমিককে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান ওই তরুণ। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন দু’জনে। এমনকী, নিজেদের গলায় ফাঁস লাগানো ছবি ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন তাঁরা।
[লরি উলটে জখম ৬ স্কুল পড়ুয়া, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র মেমারি]
মৃতের নাম দীপ নায়েক। বাড়ি, হাওড়ার বাগনানে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের আয়ান্তি ঘোষ নামে একটি কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দীপের। পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে দিঘা এসেছিলেন দীপ। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি লজে ঘর ভাড়া নেয় ওই প্রেমিক যুগল। মঙ্গলবার ভোরে ওই লজেরই একটি ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দীপ। প্রেমিকের সঙ্গেই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল বছর সতেরোর আয়ান্তিও। কিন্তু দড়িটি ছিঁড়ে যাওয়ার প্রাণে বেঁচে যায় সে। লজের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা যখন ঘরে ঢোকেন, তখনও বেঁচেছিলেন দীপ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। খবর দেওয়া হয় থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু কেন আত্মহত্যার করতে চেয়েছিল ওই প্রেমিক যুগল? দিঘার লজ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারী জানিয়েছেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল দীপ ও আয়ান্তির। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা ও প্রেম। সুইসাইড নোটে দীপ লিখে গিয়েছেন, অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। এমনকী, ওই মহিলা গর্ভবতী হওয়ার জন্য তাঁকে দোষোরোপ করা হয়। ডিএনএ টেস্টের কথা বললে, পরিবারের লোকদের মারধর করা হয়। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
[সরকারি সাহায্য পাননি, স্বপ্নের দাতব্য হাসপাতাল গড়তে জনতাই ভরসা ‘অ্যাম্বুল্যান্স দাদা’র ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.