সৌরভ মাজি, বর্ধমান: স্টেশনের পর হাসপাতাল চত্বর। ফের ধর্ষণের ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরের বারান্দায় ধর্ষিতা গৃহবধূ। স্বামীর সঙ্গে আউটডোরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। মধ্যরাতে আচমকাই স্ত্রীর চিৎকারে স্বামীর ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলতেই দেখেন পালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত। তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন নির্যাতিতার স্বামী। এদিকে চেঁচামেচিতে ততক্ষণে লোক জমেছে। হাসপাতালে থাকা পুলিশকর্মীরাও ঘটনাস্থলে চলে এসেছেন। এরপর অভিযুক্ত রথীন বৈরাগ্য ওরফে ভোলাকে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। সে অ্যাম্বুল্যান্স চালক। ধৃতকে মঙ্গলবার বর্দমান আদালতে পেশ করা হবে। ওই সময় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হবে বলে খবর।
ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপ্যাল উৎপল দাঁ জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আউটডোরের ভিতরে নয় ঘটনাস্থল বাইরের বারান্দা। হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা আউটডোরের কাজ শেষ হওয়ার পর অন্য জায়গায় ডিউটি করতে চলে যান। সেই সময়ই ঘটেছে। এদিকে হাসপাতাল চত্বরেও যে রাতে মহিলারা নিরাপদ নন, তা প্রমাণ হতেই অস্বস্তির মুখে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চাইছে।
জানা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরেই একটি চায়ের দোকানের কর্মী নির্যাতিতার স্বামী। মাঝেমধ্যে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে এলে রাতেও থেকে যান। আউটডোরের বারান্দায় রীতিমতো বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। এদিন রাতেও তার কোনও অন্যথা হয়নি। রাতে স্ত্রীর চিৎকারে স্বামীর ঘুম ভেঙে যায় স্বামীর। অভিযোগ করেন, রথীন তখন তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করছিল। ঘুম ভাঙতেই রথীনকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে হাসপাতালে ক্যাম্পের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার স্বামীর দাবি, এর আগেও বারদুয়েক তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে রথীন। কিন্তু হুমকি দেওয়ায় পুলিশে যেতে সাহস পাননি। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পরে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার স্বামী। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.