বাবুল হক, মালদহ: বছর চারেক আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু, স্ত্রী ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের অত্যাচারে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের শাস্তির দাবি জানিয়ে গিয়েছেন তিনি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ শহরের যদুপুরে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[মানসিক ভারসাম্যহীনের উপদ্রবে বিরক্ত প্রতিবেশীরা, গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু]
মৃতের নাম রকি সাঠিয়ার। মালদহ থানার শুঁড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা রকি। বছর ছয়েক আগে চাঁচোল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার সুহানি পারভিনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এই দম্পতির চার বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর মালদহ শহরের যদুপুরে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন রকি। বৃস্পতিবার সন্ধে নাগাদ ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। ভিডিও দেখে চমকে ওঠেন রকির পরিবারের লোকেরা। ভিডিও-তে ওই যুবক জানিয়েছেন, স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছেন না। তাই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, দোষীদের কঠোর শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন রকি। রাতে তড়িঘড়ি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান রকি সাঠিয়ার পরিবারের লোকেরা। কিন্ত, ততক্ষণে মারা গিয়েছেন তিনি।
মৃতের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল রকি সাঠিয়ার স্ত্রী সুহানি পারভিনের। প্রতিবাদ করায় স্বামীর উপর অত্যাচার করতেন তিনি। মেয়ের পাশের দাঁড়িয়েছিলেন রকির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। লাগাতার মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। রাতেই ইংরেজবাজার থানায় সুহানি পারভিন ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্ত এখনও অধরা।
দেখুন ভিডিও:
[ সিগন্যালিংয়ের কাজের জন্য বাতিল ১৫৮টি ট্রেন, শিয়ালদহ মেন শাখায় ভোগান্তি চরমে
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.