দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ছেলেধরা সন্দেহে একের এক গণপিটুনির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল মালদহে। হবিবপুরে মারাও গিয়েছিলেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল কলকাতার উপকণ্ঠে। দক্ষিণ শহরতলির সোনারপুরে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল এক যুবকের। তিনিও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোনারপুরের খেয়াদা বাজে বরুণতলা এলাকায়। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
[ডোমকলে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ মা ও শিশু-সহ ৩, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ]
মৃতের নাম প্রসেনজিৎ মণ্ডল। বছর বত্রিশের ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার এক বাসিন্দার উপর চড়াও হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করেন। গুরুতর আহত অবস্থা এখন হাসপাতালে ভরতি আক্রান্ত ব্যক্তি। এদিকে কোনও কারণ ছাড়াই প্রসেনজিতের এমন আচরণ মেনে নিতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে সোনারপুরের খেয়াদা বাজে বরুণতলা এলাকায় প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাছে বেঁধে শুরু হয় গণপিটুনি। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। শুক্রবার সকালে গাছের তলা থেকে প্রসেনজিতের মৃতদেহ উদ্ধার করে সোনারপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
গণপিটুনিতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় অবশ্য এখনও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা এখনও অধরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাথার ঠিক ছিল না প্রসেনজিতের। পাড়ায় রীতিমতো উপদ্রব করতেন তিনি। মারধর কিংবা হেনস্তা তো বটেই, বেশ কয়েকবার এলাকায় ভাঙচুরও করেছেন ওই যুবক।
[ ভিড়ে ঠাসা দিঘার সৈকতে ডলফিনের দেহ, সেলফি তোলার হিড়িক পর্যটকদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.