ছবি: জয়ন্ত দাস।
স্টাফ রিপোর্টার: পুজোর আনন্দ মাঠে মারা গিয়েছিল অগ্নিকাণ্ডে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ব্যবসা শুরু করা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছিল। কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উৎকন্ঠায় ছিলেন সবাই। সেই বাগরি মার্কেটের কর্মীদের পুজোর অগ্রিম দিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। প্রতিবছরের মতো একমাসের মাইনে বোনাস হিসাবে তুলে দিতে পারেননি সবাই। কিন্তু মহালয়ার দিন অনেকেই অগ্রিম পেলেন। এখানকার ওষুধ ব্যবসায়ী সংগঠনের এক কর্তা জানান, প্রায় চার হাজার মানুষ কাজ করেন বিভিন্ন দোকানে। এ ছাড়া বিপণনে যুক্ত অনেকে।
আগুনে এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে, ব্যবসা কবে শুরু করা যাবে তা নিয়ে এখনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী মানবিকতার খাতিরে কর্মীদের কিছু হলেও বোনাস দিয়েছেন। অগ্রিম হিসাবে টাকা দেওয়া হয়েছে অনেককে। তবে যে সব ব্যবসায়ীর আর্থিক ক্ষমতা নেই, সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা কিছু করে উঠতে পারেননি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, অনেকে অন্য জায়গায় ব্যবসা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ওষুধ সরবরাহ শুরু করেছেন। নিজেরা টাকা তুলে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করতে চাইলেও পুর প্রশাসনের ছাড়পত্র না মেলায় এখনই তা সম্ভব হচ্ছে না।
[পুজোতেও নেই ছাড়, হেলমেটহীন বেপরোয়া বাইক আরোহীদের সতর্ক করল পুলিশ]
গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিধ্বংসী আগুন কলকাতার বাগরি মার্কেটে আগুন লেগে পুজোর আগেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের৷ তবে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়লেও ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা৷ পুজোয় কর্মীদের বোনাস দিয়ে তাঁদের মনোবল বাড়ানোর পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভুলে ব্যবসায় ঝাঁপাতে উদ্যোগ দেখা গিয়েছে বাগরি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে৷
[ফের শহরের স্কুলে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় বিনোদিনী গার্লস]
জানা গিয়েছে,, ১৯৫৫ সালে এই বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছিল। প্রথমে দোতলা হলেও পরে তার উপর আরও কয়েকটি তলা নির্মাণ করা হয়। এই বিল্ডিংয়ে ছিল বেশ কিছু দোকান এবং অফিস। তবে, দুর্ঘটনার সময় দোকানে কেউ ছিলেন না। সেই কারণেই প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি৷ তবে পুজোর আগে এমন ভয়ংকর আগুনে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়লেন ব্যবসায়ীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.