দুলাল দে: সুভাষ ভৌমিক নয়, শংকরলালকে সঙ্গী হিসেবে চেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ আলেজান্দ্রো। তাঁর মনের কথা জানার পর মোহনবাগান কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীকে ফোন করে প্রস্তাব দেন কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের সিইও সঞ্জিত সেন। যা নিয়ে ময়দান সরগরম।
ডার্বির দিন সকালেই দুই সহকারী নিয়ে কলকাতায় পৌঁছান স্প্যানিশ কোচ। বিকেলে যুবভারতীতে খেলাও দেখেন। ডার্বি দেখে পছন্দ হয় শংকরলালের কোচিং। কোয়েসের সিইও সঞ্জিত সেনের কাছে খোঁজখবরও নেন তিনি। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু পরের ম্যাচে শংকরলালের মোহনবাগান যখন পাঁচ গোল দিল এফসিআই-কে, তখন তাঁর কোচিং দেখে মুগ্ধ স্প্যানিশ কোচ। সঞ্জিত সেনকে বলেন, তিনি শংকরলালের সঙ্গে বসতে চান। বুঝতে চান ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে। কোয়েস কর্তা জানতে চান, শংকরলালকে কি তিনি দলে পেতে ইচ্ছুক? আলেজান্দ্রো বলেন, ভাল হবে শংকরলাল যদি তাঁর সঙ্গে কাজ করেন।
এরপরই মোহনবাগান কোচকে ফোন করেন কোয়েস সিইও সঞ্জিত সেন। বলেন, তাঁদের কোচ আলেজান্দ্রো তাঁর সঙ্গে বসতে চান। তিনি কি স্প্যানিশ কোচের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক? কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের সিইওর ফোন পেয়ে শংকরলাল ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নতুন স্প্যানিশ কোচ আলোজান্দ্রোর যে তাঁর কোচিং ভাল লেগেছে, জানতে পেরে তিনি খুশি। তাই সঞ্জিত সেনের মাধ্যমেই আলেজান্দ্রোকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তাঁর সঙ্গে কি আলোচনায় বসা সম্ভব? কোয়েস কর্তার প্রশ্নের উত্তরে শংকরলাল বলেন, “ভারতীয় ফুটবলের পরিবেশে মোহনবাগান কোচ আলাদাভাবে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন, এটা সমর্থকরাই মেনে নেবেন না। সেক্ষেত্রে দুই কোচের সুস্থ আলোচনাটা ভেস্তে যাবে। বিদেশে হয়তো দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কোচরা হামেশাই আলোচনায় বসেন। কিন্তু কলকাতায় ইস্টবেঙ্গল কোচ এবং কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে মোহনবাগান সমর্থকদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই সঞ্জিত সেনের প্রস্তাব তাঁর কাছে আনন্দের হলেও, এখনই তিনি আলোচনায় বসতে পারবেন না।
আলেজান্দ্রোর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাবে বলেন, যেহেতু তিনি এখনও পর্যন্ত মোহনবাগানের কোচ, তাই তাঁর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে পারছেন না। মরশুম শেষে কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের সিইওর প্রস্তাব ভেবে দেখবেন। স্বাভাবিকভাবেই এরপর সঞ্জিত সেনের সঙ্গে আলোচনা এগোয়নি শংকরলালের। শোনা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল-এফসিআই ম্যাচের আগেই প্র্যাকটিসে নেমে পড়তে পারেন আলেজান্দ্রো। আসলে ক্লাবের পরিকল্পনা, দু’জন বিদেশি কলকাতায় এলে কোচ এবং দু’ই বিদেশি ফুটবলার একসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করানোর পর শুরু হবে আলেজান্দ্রোর প্র্যাকটিস। কিন্তু দুই ফুটবলারের শহরে আসার দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হওয়ায় সাংবাদিক সম্মেলনও হচ্ছে না নতুন স্প্যানিশ কোচের। তাই ইচ্ছে থাকলেও প্র্যাকটিসে নামতে পারছেন না তিনি।
কলকাতা লিগ শেষ হলেই শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিশ্রামের জন্য কিছুদিন ছুটি দেওয়া হবে ফুটবলারদের। তাই এফসিআই ম্যাচের পরের দিনই ফুটবলাররা ছুটিতে গেলে প্র্যাকটিস করাবেন কবে? লিগের কয়েকটা ম্যাচ দেখে নতুন কোচের যে ধারণা হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে কয়েকদিন প্র্যাকটিস করিয়ে ফুটবলারদের বিশ্রাম দিতে চান। তবে পুরো ব্যাপারটাই এখন নির্ভর করছে নতুন দুই বিদেশির শহরে আসার উপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.